ওই ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। চালক সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে ধাক্কা মারে গার্ডওয়ালে। ভ্যানটি জলে পড়ার পর চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজ দেরি হওয়ায় মানুষের ভিড়ও বাড়তে থাকে বামুনিয়া সেতুর উপর। পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কলকাতা–বাসন্তী রাস্তার উপর তখন অবরোধ শুরু হয়ে যায়।
এই খালেই পড়ে যায় ভ্যান।
বাসন্তী হাইওয়েতে ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। তার জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে সমস্য়ায় পড়েন যাত্রীরা। কারণ ইঞ্জিন ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। ইঞ্জিন ভ্যানের চালকও জলে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকেন। কিন্তু অনেকক্ষণ উদ্ধারকাজ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। আর জল থেকে তোলার পর দেখা যায ভ্যানচালক মৃত। এই ঘটনার পর রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। দেহ বাসন্তী হাইওয়েতে রেখে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ফলে হাইওয়েতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
ঠিক কী ঘটেছে বাসন্তীতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শীতের সকালে মুরগির প্লাস্টিকের ঝাঁকা নিয়ে একটি ইঞ্জিন ভ্যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী হাইওয়ে ধরে চণ্ডীপুর থেকে যাচ্ছিল। এই হাইওয়ে কলকাতার সঙ্গেও যুক্ত। ফলে এটি ধরে কলকাতায় ঢোকা যায়। তবে আজ, মঙ্গলবার বামুনিয়া সেতুর কাছে আসতেই একটি ইটবোঝাই গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে সজোরে সেতুর গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে। আর তখনই ভ্যানটি ছিটকে পড়ে যায় খালে। জলে পড়ে ভ্যানচালক তলিয়ে যায়। কারণ উদ্ধারকাজ দেরিতে শুরু হয়।