জনরোষের কথা বললেও আসলে পদত্যাগের পিছনে রয়েছে স্থানীয় বিধায়ক এবং তৃণমূল ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীকোন্দল। ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের গোষ্ঠীকোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিধায়কের নির্দেশেই ছুটির দিনে গণইস্তফা দিতে যান ১৭ জন সদস্য।
মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা যোগ্যরা পাচ্ছে না। এই অভিযোগে শনিবার একসঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের সালার থানার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্য। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফার ঘটনা নাটকীয় মোড় নিল। আজ, রবিবার পদত্যাগপত্র থেকে নাম তুলে নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য। যদিও পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে কারও পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।
মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন। প্রধান ও উপপ্রধান–সহ ১৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য সোজা বিডিও’র কাছে চলে যান গণ–ইস্তফা দেওয়ার জন্য। তখন প্রধান বলেন, ‘বহু অসহায় মানুষ এখনও পাকা ঘর পাননি। এরপর আমাদের বাড়ি গিয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাবে। এই জনরোষ থেকে বাঁচতেই আমরা আজ ইস্তফা দিতে চাইছি।’