উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াল হাতি। শুক্রবার গভীর রাতে হাতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। এরপর ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত রাতভর পর্যন্ত ছুটে বেড়ায়, ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালায়। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি খাবারের দোকানেও ভাঙচুর চালায় গরজাজ। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষী, পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: আলু ক্ষেতে ঢুকে পড়ল বুনো হাতি, মারাত্মক জখম হলেন দুই কৃষক, ঘটনাস্থলে বন দফতর
জানা গিয়েছে, হাতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর এবং প্রধান গেট ভেঙে দেয়।এছাড়াও একটি খাবারের দোকান ভাঙচুর করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগডোগরা ও বামনপোখরি বন দফতরের কর্মীরা। সকালে হাতিটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গলের ভিতরে ঘুরতে দেখা যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ক্যাম্পাসের আশেপাশে ঘন জনবসতি রয়েছে। তাই হাতিটির গতিবিধির উপর বন বিভাগের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, পূর্ণ বয়স্ক হাতিটি বালাসন নদী পেরিয়ে খাবারের খোঁজে এই এলাকায় ঢুকে পড়ে। এবিষয়ে এডিএফও রাহুল দেব মুখোপাধ্যায় জানান, হাতিটিকে আপাতত জঙ্গলের মধ্যেই আটকে রাখা হয়েছে। দিনের আলোয় হাতিকে তাড়াতে গিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই সন্ধ্যার পর সেটিকে বাগডোগরা জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার কথা ভেবে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় টহলদারি বাড়িয়েছে বন বিভাগ।
যদিও জঙ্গল বেরিয়ে হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা প্রথম নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমন ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছন। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে চিতাবাঘ এবং হরিণ ঢুকে পড়েছিল। তবে এই প্রথম ঢুকে পড়ল হাতি। তবে শনিবার ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। তবে আতঙ্কে রয়েছেন আবাসিকরা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে হাতির পাল চলে এসেছিল ফালাকাটা ব্লকের শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের উমাচরণপুর গ্রামে। সেখানে কয়েক বিঘা জমির ভুট্টা ও টম্যাটো খেত নষ্ট করে হাতির পাল। সব মিলিয়ে ১৭টি হাতি ঢুকে পড়েছিল পরে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন।