ECI seeks report on attack: ভূপতিনগরে এনআইৃ-এর উপর হামলা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হ
ভূপতিনগরে এনআইএ-এর উপর হামলা, রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন
ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে এনআইএ আধিকারিকরা। এই হামলার ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নির্বাচন দফতর থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারকেও এ নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলা
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ডিসেম্বের বিস্ফোরণে কেপে ওঠে ভূপতিনগর। এই বিস্ফোরণে তিন মারা যান। আদালত এই ঘটনার এনআইএ তদন্তে নির্দেশ দেয়। সেই তদন্তের সূত্রেই আটজনকে এনআইএ দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা হাজির না হওয়ায় শুক্রবার রাতে গ্রামে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁরা গ্রামবাসীদের একাংশের হামলার মুখে পড়েন। গ্রামের মহিলারা তদন্তকারীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাদের হামলায় গাড়়ি এনআইএ আধিকারিকদের গাড়ির কাঁচও ভাঙে।
এনআইএ সূত্রে দাবি, এলাকা থেকে দুজনকে গাড়িতে তুলতেই গ্রামবাসীদের একাংশ হামলা করে। গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ভেঙে যায় গাড়ির কাঁচ। এই ঘটনায় দু’জন আধিকারিক আহত হয়েছেন।
এই হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভূপতিনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশের দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এই হামলা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
সন্দেশখালির মতো হামলা
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকেরা। সেই ঘটনায় আহত হন কয়েকজন আধিকারিক। মাথা ফাটে। জখন হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ভূপতিনগরে।
হামলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
এদিন হামলা প্রসঙ্গে শনিবার বালুরঘাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ মাঝরাতে কেন গিয়েছিল এনআইএ? পুলিশকে জানিয়ে তো যায়নি। মাঝরাতে গ্রামের মানুষ অচেনা কাউকে দেখলে তো এমনই ঘটে!’
হামলা নিয়ে বিরোধীরা
আধিকারিকদের উপর হামলা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর উপর হামলা করকে মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে তৃণমূল। এটা সাধারণ মানুষের আক্রমণ নয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিকল্পতি আক্রামণ।’
অন্য দিকে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে NIA তদন্ত করছে। তখন এই গুন্ডাবাহিনীর কাছে স্পষ্ট বার্তা এই যে, তদন্ত করতে গেলে ভয় দেখিয়ে বার করে দেও। যেটা ঘয়িয়েছিল সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ক্ষেত্রে।’