দুর্গাপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল। আজ, বুধবার সেখানে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযানে যান ডিভিসি এবং পুলিশ কর্মীরা। জবরদখলকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। আর তা হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশের সামনেই। অরিন্দম নায়েক নামে দুর্গাপুর বস্তি রক্ষা কমিটির সদস্যকে ফেলে দিয়ে চলে গ্রামের এক পক্ষের লোকজনের মারধর করার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন টাউনশিপে। ডিভিসির নতুন ইউনিটের জন্য জবরদখল হওয়া জমি উচ্ছেদ করতে গেলে জবরদখলকারীদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়।
এদিকে কারখানা সম্প্রসারণের জন্য জমি দরকার। তাই তা উদ্ধারে বুলডোজার চালাতে গেলে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় দুর্গাপুর থানা এলাকার ডিটিপিএস বয়েজ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে গিয়ে ডিভিসি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। আহত হন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। সবমিলিয়ে উচ্ছেদকে ঘিরে এখনও উত্তপ্ত পরিবেশ রয়েছে এলাকায়। তাই পুলিশের প্রহরা রয়েছে। আপাতত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ এমন অবস্থা দেখে। তারপরই উত্তেজনা কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুন: পাটুলিতে ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার, রহস্যমৃত্যু নিয়ে তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে উদ্ধার করা জমিতে সীমানা পাঁচিল দেওয়া নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। একপক্ষের অভিযোগ গ্রামের মানুষ বাধা দেয়। কিন্তু বহিরাগতরা এসে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। আর অরিন্দম নায়েক বহিরাগত। পুলিশের সামনেই ব্যাপক মারধর, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ সামাল দেয় পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় সংস্থা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই অনুযায়ী আজ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।