হলং বনবাংলো থেকে ঘনঘন জঙ্গল। সর্বত্র নানা সময়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। আর তার জেরে জীবজগতের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমন ক্ষতি হচ্ছে প্রকৃতির। জঙ্গলে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে সেটার মোকাবিলা কেমন করে করা যায় তা নিয়ে এবার কার্শিয়াং ডিভিশনের দমকল বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। আবার ডাউহিল ফরেস্টে গিয়েও পরিদর্শন করেন। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফরেস্টের রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গেও আলোচনা করলেন মন্ত্রী। আর তারপরই দার্জিলিং পাহাড়ের ডালি, সুখিয়াপোখরি এবং সোনদায় দমকল কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
এদিকে দার্জিলিং সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর এই বড় পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এই কথা ঘোষণা করার পরই গোটা পাহাড়ে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বেশ কদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। সেই আগুন কেমন করে লাগছে তা নিয়ে দিনরাত নজরদারি করছেন বন দফতরের কর্মীরা। কোথাও আগুন লাগলে যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করা হয়। তার জন্য দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাউন্টার ফায়ার, জঙ্গলের শুকনো পাতা পোড়ানো–সহ নানা কাজ বন দফতরের পক্ষ থেকে করা হয়ে থাকে। বন দফতরের পক্ষ থেকে দমকল বিভাগের সহযোগিতায় এই কাজ করা হলেও আগুন লেগেই চলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় আবার বাতিল অমিত শাহের সফর, দু’বার সূচি তৈরি হয়েও ভেস্তে যাওয়ায় মন ভার নেতাদের