এবার সাংসদ তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ফুল বদলের ঘটনা ঘটল। পদ্মফুলের সাংসদ ছিল নিশীথ প্রামাণিক। তিনি আবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি ছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন জোড়াফুলের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার কাছে। সুতরাং সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেননি অমিত শাহের ডেপুটি। এবার সেই পদ্মফুলের সাংসদের টাকায় কাজ করবেন জোড়াফুলের সাংসদ। রাজনৈতিক বৈরিতা সরিয়ে এবার ওই টাকা খরচ করতে চলেছেন তিনি। যা বিরল দৃষ্টান্ত রাজ্য–রাজনীতিতে বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই উন্নয়নের কাজের পক্ষে বলে প্রচার করে থাকে। সেখানে এই কোচবিহার জেলায় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সাংসদ তহবিলের টাকা পড়ে আছে। যা কাজে লাগেনি উন্নয়নে। তাই সেই টাকায় এখন কাজ করবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। নিজের সাংসদ তহবিলের ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেনি নিশীথ প্রামাণিক। এবার সেই পড়ে থাকা টাকা কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া কলকাতায় কোচবিহার ভবন সংস্কার করবেন। ইতিমধ্যেই সেই কাজের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যা দেখতে অপেক্ষা করছেন মানুষজন।
আরও পড়ুন: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ব্যবহার হল বুলডোজার, বন দফতরের উদ্যোগে লণ্ডভণ্ড পর্যটনকেন্দ্র
নিয়ম অনুযায়ী, একজন সাংসদ পাঁচ বছরে সাংসদ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা পান। পরে যদি ওই নেতা আর সাংসদ না থাকেন তাহলে তাঁর তহবিলে টাকা পরবর্তী সাংসদ নিয়ে কাজ করতে পারেন। সেখানের নিশীথ প্রামাণিকের ২ কোটিরও বেশি টাকা পড়ে আছে। এবার সেই পড়ে থাকা টাকায় উন্নয়ন করবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জগদীশ। এই বিষয়ে সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘সাংসদ কোটার ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। সেই টাকায় কাজ হবে। আর প্রাক্তন সাংসদের দু’কোটিরও কিছু বেশি টাকা পড়ে আছে। সেই টাকায় কোচবিহার ভবন সংস্কার হবে। ওই ভবনটার অবস্থা ভাল নয়। সেটা সংস্কার করা হলে কোচবিহারের মানুষজন কলকাতায় গিয়ে থাকার একটা উপযুক্ত আশ্রয় হবে।’