সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন অভিষেক। সেই পথেই এবার সাড়া দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। সাগরদিঘিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হারের পর প্রথম মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক। রানিনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সাগরদিঘির উন্নয়নের পক্ষে বাইরনকে দিলেন পরামর্শ।
Ad
সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস
মুর্শিদাবাদে গিয়ে সাগরদিঘির জোট সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন অভিষেক। আর সেই পথেই এবার সাড়া দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। সাগরদিঘিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হারের পর প্রথম মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে ভেসেছেন জনতার স্রোতে। রানিনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সাগরদিঘির উন্নয়নের পক্ষে বাইরনকে দিলেন পরামর্শ।
ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক? শনিবার রানিনগরের সভায় অভিষেক বলেন, ‘সাগরদিঘিতে কংগ্রেস বিধায়ক জিতেছেন। আমি অনুরোধ করব আগামী দিনে সাগরদিঘিতে যাতে উন্নয়ন হয় তার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। কেউ বারণ করছে না। যেখানে আমরা জিতেছি সেখানেও পরিষেবা দিয়েছে। যেখানে হেরেছি সেখানেও পরিষেবা দিয়েছি। অসুবিধা হলে মুখ্যমন্ত্রীর দরজা খোলা। মুর্শিদাবাদে ২২ আসনের মধ্যে ২০টা জিতেছি। মুর্শিদাবাদেও যেমন সবাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছে। তেমনি আলিপুরদুয়ারের সবাই তা পাচ্ছে। সেখানে আমরা কোনও আসন জিতিনি। দলমত নির্বিশেষে মমতা সবার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে।’
ঠিক কী বলছেন অধীর? অভিষেকের কথা শুনে চাপে পড়ে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘বাইরন যা বলেছে সেটা রাজনৈতিক সৌজন্য। কিন্তু হঠাৎ বাইরন বিশ্বাসকে নিয়ে খোকাবাবুর মাথায় এসব এল কেন? উন্নয়ন তো গোটা বাংলায় দরকার। তৃণমূলের কাছ থেকে সাগরদিঘি কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেই কি তা নিয়ে ভাবিত খোকাবাবু! সেটাই আমার প্রশ্ন। কাউকে বিড়ি খাওয়ানোর প্রয়োজন হলে বাইরন বিশ্বাসও বিড়ি দিতে পারে। কোনও অসুবিধে নেই। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তো ভাল।’