লাগাতার বৃষ্টিতে বেহাল হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মঙ্গলবার হুগলির আরামবাগ মহকুমায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি উপস্থিত থাকবেন কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একটি অনুষ্ঠানে। (আরও পড়ুন: লালকেল্লায় ঢোকার চেষ্টা, দিল্লিতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী)
আরও পড়ুন: শুরু ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’, মিলছে ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা, কী বললেন মমতা
দুপুর নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পুরশুড়া ও আরামবাগ হয়ে সড়কপথে পৌঁছবেন কামারপুকুর। হুগলির কর্মসূচি শেষে এ দিনই তাঁর মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ঘাটালের বানভাসি এলাকা পরিদর্শনের পর বুধবার তাঁর ঝাড়গ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খবর মিলতেই দুই জেলার প্রশাসন ও তৃণমূলের দলীয় সংগঠন নেমে পড়েছে জোর প্রস্তুতিতে। যেসব রাস্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাত্রা করবেন, সেগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করা হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁপাডাঙা-আরামবাগ রাজ্য সড়ক (২ নম্বর) এবং আরামবাগ-কামারপুকুর রাজ্য সড়ক (৭ নম্বর)—এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পথে সোমবার রাত পর্যন্ত চলেছে সংস্কারকাজ। কামারপুকুরের লক্ষ্মীজলা এলাকায় একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য বক্তব্যের জন্য। সেই মঞ্চের সামনেই এ দিন সকাল থেকে আলপনা আঁকার কাজ চলেছে। গোটা পরিকাঠামোর তদারকিতে রয়েছেন জেলাশাসক মুক্ত আর্য নিজে। জেলা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন গোড়া থেকেই। (আরও পড়ুন: বাংলার ৪ বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না, কী করবে নির্বাচন কমিশন?)
আসন্ন সফর ঘিরে বাড়তি মাত্রা পেয়েছে রাজনৈতিক প্রস্তুতিও। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আরামবাগ পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন মোড়ে লাগানো হয়েছে সরকারি প্রকল্পের হোর্ডিং ও ব্যানার। দলীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে একাধিক জায়গায় থাকবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন রাস্তাঘাট বৃষ্টির জেরে কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। বহু এলাকায় স্থানীয় মানুষ রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দিনক্ষণ ঘোষণার পর রাতারাতি রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হুগলির বন্যা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া সরেজমিনে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন নজর সাধারণ মানুষের।