বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। তার মধ্যেই উপাচার্য চিঠি পাঠিয়ে আক্রমণ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। জমি নিয়ে বিরোধ লেগেছে। যদিও সেই জমির কাগজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিয়ে এসেছেন অমর্ত্য সেনের হাতে। তারপর পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখান থেকে জানতে পেরেছেন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা। তাই এবার এসব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখবেন প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদীকে।
কেন চিঠি লিখবেন প্রধানমন্ত্রীকে? আজ, বুধবার বোলপুর থেকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এবং এক অধ্যাপকের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি জানতে পেরেছেন এখানে পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। আর চলছে অচলাবস্থা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে নানা তথ্য। সেগুলিই তিনি নরেন্দ্র মোদীকে লিখে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে অমর্ত্য সেনের কথা থাকবে কিনা সেটা খোলসা করে জানাননি তিনি।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বুধবার বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমি ছেড়ে কথা বলার জন্য ওঁদের সঙ্গে কথা বলিনি।’ তিনি আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন বিশ্বভারতীতে গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অধ্যাপকদের এবং পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করছেন মতের অমিল হলেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা পড়তে চান, তাঁদের যদি কোনও ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় আমি করে দেব। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।’
আর কী বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? পড়ুয়া–অধ্যাপকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিয় ঠাকুর দুঃখ করছিলেন, আমার বাড়ির সামনেও একটা পাঁচিল তুলে দিয়েছে। উনি ডুগডুগি বাজিয়ে সকলকে অপমান করবেন। আর বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ করবেন। সেটা চলতে পারে না। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup