বাল্যবিবাহ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। চিঠিতে ১৬৩৯টি বাল্য বিবাহের উল্লেখ রয়েছে। রাজ্য সরকারকে কমিশন প্রশ্ন করেছে, অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কি বাল্যবিবাহ নিয়ে পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন? এই আবহে রাজ্যকে জবাব দেওয়ার জন্য ১০ দিন সময় বেঁধে দিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই ১৬৩৯টি বাল্যবিবহের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে? কেন শিশুটিকে অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল? পুলিশ কেন কিছু করেনি এই সব ক্ষেত্রে? (আরও পড়ুন: ডিএ প্রতিবাদে নয়া মোড়, হাই কোর্টে নতুন করে মামলা সরকারি কর্মীদের সংগঠনের)
প্রসঙ্গত, বাল্যবিবাহ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জেলাভিত্তিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শিশু এবং মহিলা কল্যাণ দফতর সেই সব রিপোর্ট পাঠায় কমিশনকে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজ্যে ৪০০১টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে। তবে এর মধ্যে ২৯৩৯টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে ১০৬১টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল কি না, বা কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি। এদিকে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টম্বর পর্যন্ত ২৭৩২টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২১৫৪টি বাল্যবিবাহ রুখে দেয় পুলিশ বা প্রশাসন। তবে ৫৭৮টি ঘটনায় কোনও পদক্ষে করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আর কিছুক্ষণে হবে বৃষ্টি, রবিতে জারি কালবৈশাখীর সতর্কতা