কিছুদিন আগেই বন্ধু অঙ্কুশের সঙ্গে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি বছর সাতেকের সৌরভ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ১৫ দিন পর আসল সত্যিটা বের করল। জানা গিয়েছে, সৌরভ অঙ্কুশের মাসিকে ‘ভেটকি’ বলে খেপিয়েছিল। তাই রেগেমেগেই আধলা ইট সৌরভকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মেরেছিল অঙ্কুশের মাসি। ইট মাথায় লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌরভের।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের অন্ডালের মাধবপুর কোলিয়ারিতে। গত ৬ জুলাই বন্ধু অঙ্কুশের সঙ্গে খেলতে বেরিয়েছিল সৌরভ। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর বাড়ির লোকেরা সৌরভকে খোঁজাখুজি শুরু করে। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় সৌরভের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে, গত ৬ জুলাই সৌরভ অঙ্কুশদের বাড়ি গিয়েছিল। সেই মতো পুলিশ অঙ্কুশের পরিবারের সদস্যদেরও জেরা করে পুলিশ। জেরায় পুলিশ তথ্যে অসঙ্গতি খুঁজে পায়। পুলিশ বুঝতে পারে, সৌরভের অঙ্কুশের বাড়িতে আসার সময় ভুল বলেছে অঙ্কুশের পরিবারের সদস্যরা। এরপরই পুলিশের সন্দেহ হয়। শেষ পর্যন্ত অঙ্কুশকে স্কুল থেকে সোজা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অঙ্কুশকে জিজ্ঞাসা করেই পুরো ঘটনা জানতে পারে তদন্তকারীরা। তখনই তদন্তকারীরা জানতে পারে, সৌরভকে মারার পিছনে অঙ্কুশের মাসি যশোদা বাউড়ির হাত রয়েছে। যশোদা বাউড়ির ছোড়া আধলা ইটের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে সৌরভের। সৌরভের জ্ঞান ফেরাতে চেষ্টাও করে অঙ্কুশের পরিবারের সদস্যরা। যশোদার বাবা গণেশ সৌরভকে ওষুধও দেন জ্ঞান ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এরপর সৌরভের দেহ রান্নাঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। পরেরদিন অর্থাৎ ৭ জুলাই সৌরভের মুখে ও গায়ে পোড়া মোবিল ঢেলে তার দেহকে জঙ্গলে ফেলে আসা হয়। যশোদার ভাই রোহন এই কাজটি করে। পুলিশ এরপর যশোদা বাউড়ি সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে সৌরভের পরিবারের সদস্যরা।