রোজ বাড়িতে কিছু না কিছু নিয়ে অশান্তি করেন জামাইবাবু। তার ফলে বাড়ির পরিবেশ খারাপ হয়। পাড়া–প্রতিবেশীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। অবিলম্বে এই অশান্তির বাতাবরণ থামানো দরকার। তাই বাড়িতে ঝগড়া–অশান্তি শুরু হতেই সেটার প্রতিবাদ করেন শ্যালক। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জামাইবাবু ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়ে দিলেন। রাগের চোটে শ্যালকের অণ্ডকোষে কামড় বসিয়ে দিলেন যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোড়ন পড়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়ারি শরিফে। আক্রান্ত শ্যালক এখন ভর্তি হাসপাতালে।
এখানেই শেষ নয়, শ্যালকের পুরুষাঙ্গ কামড়ে মাংসপিণ্ড ছিঁড়ে নেয় জামাইবাবু বলে অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফ থানার অন্তর্গত মাকালতলা গ্রামে এই ঘটনার পর গুরুতর জখম শ্যালক রবীন মণ্ডলকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। শ্যালক রবীন মণ্ডল তাঁর দিদি ও জামাইবাবু মুন্না সাউয়ের সঙ্গে থাকেন। কোনও কাজ করেন না জামাইবাবু মুন্না। উলটে রোজ বাড়িতে নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি করেন। এমনকী স্ত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘টক–টু–মেয়র’ অনুষ্ঠান নিয়ে চাপে পড়ল কলকাতা পুরসভা, খরচ বাড়ছে মারাত্মক
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অশান্তি নিয়ে পরিবারের সকলেই রোজ সমস্যায় ভুগতেন। আর সোমবার রাতে জামাইবাবু মুন্নার অত্যাচার চরম পর্যায়ে ওঠে। এটাই সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করেন রবীন মণ্ডল। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে মুন্না সটান শ্যালকের অণ্ডকোষে কামড় বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় শ্যালক রবীন মণ্ডল মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। তখন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। এখন সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। হঠাৎ শ্যালকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন জামাইবাবু। তাতেই প্রথমে আঘাত পান শ্যালক রবীন। তারপর সোজা অণ্ডকোষে কামড় বসিয়ে দেন জামাইবাবু।