মেদিনীপুরে ভোট গণনার ষষ্ঠ-সপ্তম রাউন্ডে নোটার চেয়ে পিছিয়ে পড়ে কংগ্রেস। পরে মেকআপ দেওয়া গিয়েছে। মেদিনীপুরে নোটায় পড়ে ২ হাজার ৬২৪ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৩ হাজার ৯৫৯ ভোট। হাড়োয়ায় দ্বাদশ এবং ত্রয়োদশ রাউন্ডে কংগ্রেসকে ছুঁয়ে ফেলে নোটা। নৈহাটি কেন্দ্রে নোটায় মোট ভোট পড়েছে ১,৭২৮। কংগ্রেস ভোট পেয়েছে ৩,৮৮৩।
Ad
বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস
আজ, শনিবার বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী গত বিধানসভা নির্বাচনে যে মাদারিহাট থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিল, সেই মাদারিহাট হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারের ভোটে জয়ী হয়েছেন। গণনা শেষে ৬–০ হল। কিন্তু এই উপনির্বাচনে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হল—বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সব কটি কেন্দ্রেই জামানত বাজেযাপ্ত হয়েছে। সুতরাং বাংলার মানুষ এই দুটি দলকে আবার রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান করল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে অকাল হোলি খেলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাদারিহাট–সিতাই দুটিই উত্তরবঙ্গের আসন। আগে দিনহাটা জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিককেও পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের অবস্থা আজ এমন হল যে, প্রত্যেক রাউন্ড গণনা শেষে তথ্য উঠে এল—নোটার সঙ্গে লড়াই হল বাম–কংগ্রেস প্রার্থীর। এমনটা বহু জায়গায় হয়েছে। তাই এটাকে রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান বলা হচ্ছে। মাদারিহাটে নোটায় পড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ ভোট। আরএসপি এবং কংগ্রেস যথাক্রমে পেয়েছে ৩ হাজার ৪১২ এবং ৩ হাজার ০২৩ ভোট। যা এখন চর্চার বিষয়।