ঘূর্ণিঝড় আমফানে একদফা বড় ক্ষতি হয়েছিল। এবার কালবৈশাখী বোটানিক্যাল গার্ডেন লন্ডভন্ড করে দিল। ফলে ক্ষতি হয়েই চলেছে ওই উদ্যানের। আমফানে দু’হাজার গাছ উপড়ে যায়। তারপর সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে তিন বছরে প্রায় চার হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার গাছ বসানো হবে বলে সূত্রের খবর।
Ad
বোটানিক্যাল গার্ডেন
কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। হাওড়ার শিবপুরে এখন এটাই বড় খবর। কারণ ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান’ বা বোটানিক্যাল গার্ডেন একটি ঐতিহ্যবাহী জায়গা। তাছাড়া এখানে বহু পর্যটকরা ভিড় জমান। এমনকী গবেষণা করতেও পড়ুয়ারা আসেন। আর সেখানেই সোমবারের প্রবল ঝড়ে অন্তত ৪০টি গাছ উপড়ে পড়েছে। যার মধ্যে আছে কয়েকটি বিরল প্রজাতির গাছও। ডালপালা ভেঙে ক্ষতি হয়েছে ১০০টিরও বেশি গাছের। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানে একদফা বড় ক্ষতি হয়েছিল। এবার কালবৈশাখী বোটানিক্যাল গার্ডেন লন্ডভন্ড করে দিল। ফলে ক্ষতি হয়েই চলেছে ওই উদ্যানের। আমফানে দু’হাজার গাছ উপড়ে যায়। তারপর সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে তিন বছরে প্রায় চার হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার গাছ বসানো হবে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু মাঝে আরও একদফা ক্ষতি হয়ে গেল। একাধিক ক্ষতি হওয়া গাছের মধ্যে রয়েছে কদম, জারুল, নিম, জামুন, মেহগনি, আমলা, রাধাচূড়া, রে ট্রি–সহ নানা গাছ। ডালপালা ভেঙেছে বহু বিরল প্রজাতির গাছের।
অন্যদিকে গাছের তো প্রাণ আছে। ফলে আঘাত তো লেগেছেই বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এখন এই ক্ষতে আবার নতুন করে প্রলেপ দিতে হবে। ঝড়বৃষ্টি তো হবেই। ঋতু পরিবর্তন অনুযায়ী আসবে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা। তবে কালবৈশাখী অনেক বেশি ক্ষতি করে সাধারণ বর্ষাকালের থেকে। এই বিষয়ে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের যুগ্ম–অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিনহা জানান, ঝড়ে উদ্যানের গাছপালার অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই উদ্যানে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি যেন স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফানের।