সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সেনার যুদ্ধ সরঞ্জামগুলি উদ্ধার করছে। যার বেশির ভাগটাই তিস্তা পাড়ে নিস্ক্রিয় করছে সেনাবাহিনী। গত ৪ অক্টোবর সিকিম পাহাড়ে বিধ্বংসী বন্যায় জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সেনার সরঞ্জাম।
নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে যুদ্ধ সরঞ্জাম। নিজস্ব ছবি।
সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে একের পর এক বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র ভেসে এসেছে। মূলত উত্তর সিকিমের চুংথাম এলাকার এক়টি সেনা ছাউনি ভেসে যাওয়ায় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরকও জলের তোড়ে ভেসে যায়। সেগুলিই উদ্ধার হচ্ছে তিস্তা পাড় থেকে। সেগুলি একে একে নিষ্ক্রিয় করছে সেনাবাহিনী। যারফলে জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড় লাগোয়া এলাকায় শোনা যাচ্ছে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের আওয়াজ। দুটি বফর্স চার্জারও ভেসে এসেছিল জলপাইগুড়ি তিস্তা পারে। সেই বফর্স চার্জার দুটি বুধবার সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় করেছে।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সেনার যুদ্ধ সরঞ্জামগুলি উদ্ধার করছে। যার বেশির ভাগটাই তিস্তা পাড়ে নিস্ক্রিয় করছে সেনাবাহিনী। গত ৪ অক্টোবর সিকিম পাহাড়ে বিধ্বংসী বন্যায় জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সেনার সরঞ্জাম। যার মধ্যে রয়েছে লং রেঞ্জ শেল, রকেট লঞ্চার, বফর্স শেলের মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রয়েছে। সেগুলি উদ্ধারের পর নদীর চরেই নিস্ক্রিয় করছে সেনা। তাতেই কেঁপে উঠছে চারপাশ। রীতিমতো যুদ্ধযুদ্ধ পরিস্থিতি এলাকায়। কানে তালা দেওয়ার মতো অবস্থা বাসিন্দাদের। বফর্স চার্জার দুটি একটি ধান খেতে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তার চারপাশ বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাতে বারুদ মাখানো বেশ কয়েকটি কাঠি দিয়ে আগুন লাগিয়ে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। প্রকৃতপক্ষে বফর্স চার্জার হল বফর্স কামানের বারুদ। তা দেখতে এদিন ভিড় জমে স্থানীয়দের। অনেকেই সেই দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন।