এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তা নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক–বিরোধী। উঠে আসছে একের পর এক বাক্যবাণ। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি সংঘর্ষের কথা শোনা গেল বিজেপি নেতার মুখে। কয়েকদিন আগে গাঁটওয়ালা বাঁশের ব্যবহারের কথা শোনা গিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। তারপর ছোট ডান্ডার নিদান দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার সেই বাঁশ দিয়ে মেরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মুখ, হাঁটু ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সহ–সভাপতি অরূপ দাস।
ঠিক কী ঘটেছে মেদিনীপুরে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে হারের মুখ দেখতে না হয় তাই দলের নেতা–কর্মীদের চাঙ্গা করতে এমনই ভোকাল টনিক দিয়েছেন বিজেপি নেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই লাগামহীন হচ্ছে মুখের ভাষা। আবাস যোজনা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে সোমবার মেদিনীপুর সদর বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা বিজেপির সহ–সভাপতি অরূপ দাস বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতা? সোমবার বিডিও অফিসের সামনে ভাষণ দেন অরূপ দাস। তখনই তিনি বলেন, ‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেস নই। তবে যে তৃণমূল নেতারা টাকা খাবেন তাঁদের মোটা গাঁটওয়ালা বাঁশ আছে, মুখেও মারব, গাঁটেও মারব। হাসপাতালে পাঠাব, দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি। কোনও পুলিশ বাঁচাতে পারবে না। এক পয়সাও ওই অঞ্চল প্রধানকে খেতে দেব না। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে থামে বেঁধে মারব। গাঁটওয়ালা বাঁশ দিয়ে মুখে মারব, হাঁটুতে মারব, ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি করব। পুলিশেরও ক্ষমতা নেই আটকাবে। এ কথা বলে গেলাম।’