কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটদানের দিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, এসবের মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। তিনি ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বাঁ হাতের মধ্যমা দেখিয়ে শিরোনামে উঠে আসেন। আসলে তাঁর সেই আঙুলেই লাগানো হয়েছে ভোটের কালি। অথচ কালি দেওয়া হয় সাধারণত তর্জনীতে। প্রশ্ন উঠছে, কেন প্রথা ভেঙে মধ্যমায় কালি লাগানো হল? এনিয়ে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী। পালটা বিজেপি প্রার্থীকেই নিশানা করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বৃষ্টি, বিরোধীদের বসতে বাধা, কালীগঞ্জে উপভোট ঘিরে উত্তেজনা বহু বুথে
বিষয়টি নিয়ে এদিন আশিস ঘোষ দাবি করেছেন, পুরো বিষয়টি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই মত তাঁর। তিনি বলেন, ‘প্রথমে যখন আমি ঢুকি তখন কালি লাগানো হয়নি। পরে লাগানো হয়। ওরা পরিকল্পনা করেই আমার মধ্যমাতে কালি লাগিয়ে দিয়েছেন। অথচ কালি লাগানো উচিত তর্জনীতে। কিন্তু তা হয়নি। বুথের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী আধিকারিকরা দায়িত্ব পালন করেননি। তৃণমূল এটাকে নিয়ে হাইলাইট করবে, সেই কারণেই পরিকল্পনা করে এটা করা হয়েছে।’ তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থীকে। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ও মিডিল ফিঙ্গার দেখালো, চক্রান্ত নাকি আমরা করেছি!! কোথা থেকে ধরে আনে বিজেপি এসব প্রার্থী?’ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের তা কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
তবে বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেও বেশ কিছু কেন্দ্রে অশান্তির অভিযোগ ওঠে। আশিস ঘোষ অভিযোগ করেন, একাধিক বুথে বিজেপি এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে এসব মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলে। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ এবং বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হলেন কাবিল উদ্দিন শেখ। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে এদিন ভোটদানের হার কম ছিল। বৃষ্টি কমলে তা বাড়ে।