বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Suvendu sweeps in East Medinipur: মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রেও এগিয়ে BJP, শুভেন্দু-গড়ে হারের ময়নাতদন্তে দিশাহারা TMC
পরবর্তী খবর
Suvendu sweeps in East Medinipur: মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রেও এগিয়ে BJP, শুভেন্দু-গড়ে হারের ময়নাতদন্তে দিশাহারা TMC
বিজেপির দাবি, মুসলিমদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রহণযোগ্যতা বরাবরই ভালো। বিজেপিতে যোগদানের পরেও তাঁর প্রতি সমস্ত মুসলিমের আস্থা টলেনি। তাছাড়া মুসলিম ভোট ঝুলিতে পুরতে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
Ad
মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রেও এগিয়ে BJP, শুভেন্দু-গড়ে হারের ময়নাতদন্তে দিশাহারা TMC
শুভেন্দু ম্যাজিকেই কি পূর্ব মেদিনীপুরে মুসলিম ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে? পূর্ব মেদিনীপুরে বিপর্যয়ের পর এখন তথ্য বিশ্লেষণ করে তারই কারণ খোঁজার চেষ্টায় মরিয়া তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২টি আসন তমলুক ও কাঁথির অন্তর্গত মোট ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। নন্দীগ্রাম তো দূরের কথা ২০২১এর নির্বাচনে জিতে আসা আসনগুলিকেও ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূল। কেন এমন কাণ্ড ঘটল, তার কী জবাব দেবেন রাজ্য নেতৃত্বকে, সেই দুশ্চিন্তায় এখন বিনিদ্র রাত কাটছে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের।
পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি আসনে এবার শুভেন্দুর সঙ্গে ইজ্জত বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল তৃণমূল। কিন্তু ২টি আসনেই বিপুল ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। তমলুক আসনে প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাঁথি আসনে প্রায় ৪৮ হাজার ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। এমনকী মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভাগুলিতেও লিড পায়নি তৃণমূল। যার মধ্যে অন্যতম কোলাঘাট। ৩০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত এই বিধানসভা থেকে ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী প্রায় ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে সব যোগ করে প্রায় ২২ হাজার লিড ছিল তৃণমূলের সেখানে এবার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২,৭২১ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
কিন্তু কী করে এই অসাধ্য সাধন করলেন শুভেন্দু? বিজেপির দাবি, মুসলিমদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রহণযোগ্যতা বরাবরই ভালো। বিজেপিতে যোগদানের পরেও তাঁর প্রতি সমস্ত মুসলিমের আস্থা টলেনি। তাছাড়া মুসলিম ভোট ঝুলিতে পুরতে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকী মসজিদের ইমাম ও মুসলিম সমাজের মুরুব্বিদের সঙ্গে আলাদা করে রাজ্যের পরিস্থিতি ও বিজেপির প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝিয়ে বলেন তিনি।
ওদিকে কোলাঘাট কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী নিজের বুথে হেরেছেন। তিনি বলেন, ‘গোটা জেলাতেই তৃণমূলের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। কেন এরকম হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। নিশ্চই আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। কিছু লোক তো বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল বলেও শুনছি। সব নেতৃত্বকে জানাব।’