সদ্য ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদে নেমে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল সেই ভাঙড়েই। একেবারে রণংদেহী মেজাজে ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগে এবার কাঠগড়ায় তুলেছে আইএসএফ’কে। এখন রাজ্যে ভোট নেই। বছর ঘুরলে তবে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার বেশ কয়েক মাস আগেই ভাঙড় আবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল। এই ঘটনা নিয়ে আজ শনিবার আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
আবার নতুন করে অশান্তি ভাঙড়ে তৈরি হওয়ায় মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। এদিন ভাঙড়ের চকমরিচা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। তাতেই সাধারণ মানুষজন সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে খবর। কারণ এই ভাঙড় কিছুতেই শান্ত থাকছে না। শান্তি এই ভাঙড়ে ফিরে আসছে না। গত সোমবার ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ দেখাতে আইএসএফের মিছিল আটকানোয় ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। শোনপুরে তখন একের পর এক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরাও। সেই ক্ষত এখনও দগদগে। তার মধ্যেই শাসকদলের পার্টি অফিসে আক্রমণ।
এবার পাল্টা ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আইএসএফের করা হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার শোনপুর চলো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেটা যাতে করতে না পারে তার জন্যই আগেভাগে ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমরিচা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। এই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অধীনে এখন ভাঙড়। কিন্তু তারপরও হিংসা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে চলেছে।