পানাগড়ে নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ির মালিক বাবলু যাদবের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। ওই ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় সুতন্দ্রার গাড়িকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন আসানসোল - দুর্গাপুরের পুলিশ সুপার। তার পর রাত পোহাতে না পোহাতে ডিগবাজি দিয়ে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। এর পরই পানাগড় বাজারে গাড়ির পুরনো যন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী বাবলু যাদবের বাড়িতে হানা দেয় তারা। তবে বাবলুকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
পড়তে থাকুন - বচসা চলাকালীনই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন, ট্রলিব্যাগে মহিলার দেহ উদ্ধারে জেরায় কবুল
আরও পড়ুন - ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ লাভলিকে TMC পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরাল প্রশাসন
পানাগড় বাজারে বাবলু যাদবের বাড়ির পাশেই লরির পুরনো পাতি ও অন্যান্য সামগ্রীর কারবার। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে এক এএসআইয়ের নেতৃত্বে হানা দেন কাঁকসা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তবে প্রত্যাশামতোই বাবলুকে সেখানে পাননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বাবলু কোথায় তাদের জানা নেই। তবে যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছে বলে অভিযোগ সেটি বাবলুরই। ঘটনার সময় গাড়িতে ৪ জন ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাবলুই।
জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বাবলুর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, সেরাতে ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে বাবলুকে জেরা করা প্রয়োজন। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিনি। সঙ্গে বাবলুকে ধরা গেলে তার বাকি সঙ্গীদেরও খোঁজ পাওয়া যাবে। এর ফলে তার বক্তব্য খতিয়ে দেখাও সহজ হবে।
আরও পড়ুন - ‘আন্দোলন না করার জন্য ডাক্তারদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে’, বেতন নিয়ে বেলাগাম দিলীপ
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কোনও তদন্ত হওয়ার আগেই কয়েকজনের বয়ানের দোহাই দিয়ে সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে কী ভাবে বাবলু যাদবকে ক্লিনচিট দিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার। আর পুলিশ সুপারে ক্লিন চিট দেওয়ার পরেও কেন অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে হল পুলিশকে। আর এই ঘটনায় কেন অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ? কেন সরাসরি খুনের মামলা নয়?