চা শ্রমিকদের বাড়ি মেরামত, বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া মেটানো সহ একাধিক দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তারফলে চা বাগানের কাজ ব্যহত হচ্ছিল। সেই অবস্থায় শুক্রবার আচমকা চা বাগান ছেড়ে চলে যান ম্যানেজার। ফলে ম্যানেজার না থাকায় শনিবার কাজ বন্ধ থাকে।
Ad
খুলল চা বাগান (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য এএনআই)
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কালচিনির আটিয়াবাড়ি চা বাগানে অচলাবস্থা চলছিল। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাটল সেই অচলাবস্থা। জানা যাচ্ছে রবিবার থেকে ফের চা বাগান স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবারই চা বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ম্যানেজার। তবে স্থানীয় প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকের পরেই চা বাগানের অচলাবস্থার বরফ গলে। সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগে চা বাগান বন্ধ হতে বসায় স্বাভাবিকভাবে চিন্তিত ছিলেন শ্রমিকরা। তবে আবার চা বাগান খুলে যাওয়ায় খুশি চা বাগানের ১২০০ জন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার।
প্রসঙ্গত, চা শ্রমিকদের বাড়ি মেরামত, বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া মেটানো সহ একাধিক দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তারফলে চা বাগানের কাজ ব্যহত হচ্ছিল। সেই অবস্থায় শুক্রবার আচমকা চা বাগান ছেড়ে চলে যান ম্যানেজার। ফলে ম্যানেজার না থাকায় শনিবার কাজ বন্ধ থাকে। চা শ্রমিকরা কাজে গেলেও ম্যানেজার না থাকায় চা বাগান বন্ধ থাকে। ফলে বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের ফিরে যেতে হয়। বিষয়টির খবর পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে স্থানীয় বিডিও প্রশান্ত বর্মন চা বাগানের শ্রমিক এবং মালিক পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বিডিও ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপরেই জট কাটে। চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্যাক্টরিতে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা চা পাতা ছিল। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলে সেখানে চা পাতা তৈরির কাজ শুরু হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের মজুরি দৈনিক ১৮ টাকা বাড়ানোর কথা থাকলেও তা বাড়ানো হয়নি, বাড়িও মেরামত করা হচ্ছে না।