পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশ এখন তেতে আছে। বাংলার তিনজন পর্যটক খুন হয় জঙ্গিদের গুলিতে। এই আবহে এবার আততায়ীরা গুলি করে খুন করল সিআইএসএফ জওয়ানকে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোড়ন আসানসোলের ডোমদহা গ্রামে পড়ে গিয়েছে। কেন একজন সিআইএসএফ জওয়ানকে খুন করা হল? কারা খুন করল? খুনের নেপথ্যে মোটিভ কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার ওই জওয়ানের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত জওয়ানের নাম সুনীল কুমার পাসওয়ান। এই জওয়ান প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম এলাকার বাসিন্দা। তাঁকেই গুলি করে ঝাঁঝরা করা হয়েছে। পেশায় সিআইএসএফের এই জওয়ান সালানপুরের ডোদোহা গ্রামে জমি কিনেছিলেন। সেটার প্রায়ই দেখভাল তিনি নিজেই করতেন। পরিবার নিয়ে ওই জমিতে বাড়ি করে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই সেখানে বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। বুধবার বেশি রাতে বাড়ির কাজ কতটা এগিয়েছে সেটা দেখতে গিয়েছিলেন সুনীল পাসওয়ান। তখনই কেউ বা কারা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আর সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই জওয়ান।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের হাট শেড করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার, অর্থনৈতিক উন্নতিই লক্ষ্য
স্থানীয় সূত্রে খবর, তবে ওই গুলি চলার সময় শব্দ হয় মারাত্মক। গুলি চলার শব্দ বুঝতে পেরেই ছুটে যান প্রতিবেশীরা। কিন্তু ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্তরা। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর মদের বোতল। আর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে পাঠিয়ে দিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করে সরব হন মৃত জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা।