ভাষা আন্দোলনের নামে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ভোটারদের মধ্যে বাঙালি আবেগের সঞ্চার করতে চাইছেন। এই আবহে সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো জেলা ছাড়তে না ছাড়তেই দলের দুই হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত অবিনাশপুর অঞ্চলে।একদা বীরভূমের রাজনীতিতে 'একা বাঘ' ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি এবং তাঁর মেয়ে জেলে যাওয়ার পর সেই শূন্যস্থান অনেকটাই পূরণ করেছিলেন কাজল শেখ। তবে অনুব্রত মণ্ডল জেলার রাজীনিতে ফের সক্রিয়ায় হওয়ায় সমীকরণ বদলেছে। সাম্প্রতিক বিতর্কের আবহে অনুব্রতর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও বীরভূমে দাঁড়িয়ে মমতা সেই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন নিজেই। এরপর দলের নেত্রী জেলা ছাড়তে না ছাড়তেই অনুব্রত এবং কাজলের অনুগামীদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।বর্তমানে বীরভূমে তৃণূলের কোর কমিটির সদস্য় হলেন অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের। তাঁদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিরকালই ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা যেন তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত অবিনাশপুর অঞ্চলের বাস স্ট্যান্ডের সামনেই তৃণমূলের অনুব্রত গোষ্ঠী ও কাজল গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি এবং বোমাবাজি হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সিউড়ি থানা পুলিশ। অভিযোগ, অবিনাশপুর অঞ্চলের সভানেত্রী তনুজা ধীবরের স্বামীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এই তনুজা ধীবর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় দু’জন আহতকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এদিকে এর আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা করতে গিয়েও মমতার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি অনুব্রত। তবে গত সোমবার বীরভূমের কোর কমিটির কনভেনর আসনে বসেন অনুব্রত। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেষ্ট। ওই মামলায় বেশ কিছু দিন জেল খাটতে হয় তাঁকে। এদিকে সম্প্রতি এক পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। সেই আবহে অনুব্রত কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তবে ২০২৬ সালের ভোটের আগে ফের বীরভূমের রাশ সেই অনুব্রতর হাতে। আর এরই মাঝে কাজলের গোষ্ঠীর লোকেদের হাতে মার খেতে হল অনুব্রতর টিমের সদস্যকে।