স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ১০২ জন। তবে দু'দিন ধরে কোনও পড়ুয়াই স্কুলে আসছে না। আর তার কারণ হল, পড়াশোনার বদলে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে স্কুলে ঝাঁট দেওয়ানোর অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের দু'দিন ধরে স্কুলে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। ঘটনাটি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের মাঠা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের। বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় থানার পাশাপাশি শিক্ষা আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন: চাটানো হল টয়লেটের সিট, ভয়ঙ্কর র্যাগিং, অপমানে আত্মঘাতী পড়ুয়া, তদন্তে SIT
জানা গিয়েছে, মাঠা ও তার আশেপাশের গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠনের একমাত্র জায়গা হল এই বিদ্যালয়টি। অভিযোগ উঠেছে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলাকান্ত দত্ত ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে ক্লাসরুম পরিষ্কার করাচ্ছেন। তাদের ঝাড়ু দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন গ্রামের বাসিন্দারা। পরে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে এবং বিদ্যালয়ের কুয়ো পরিষ্কার করার জন্য অভিভাবিকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে যান। তবে অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাঁদের উদ্দেশ্যে নানা কটূক্তি করেন। শুধু তাই নয়, মহিলাদের হাত ধরে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন বলেও অভিযোগ। পরে এই ঘটনার বিষয়ে লিখিতভাবে বাঘমুন্ডি থানায় অভিযোগ জানান অভিভাবকরা। পাশাপাশি ব্লক এবং বাঘমুন্ডি ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের তাঁরা পাঠাবেন না।