বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > TMC councilor of Budge Budge: রক্তদান শিবিরের জন্য মেলেনি টাকা, নার্সিংহোম মালিককে মারধর, কাঠগড়ায় TMC কাউন্সিলর
পরবর্তী খবর
TMC councilor of Budge Budge: রক্তদান শিবিরের জন্য মেলেনি টাকা, নার্সিংহোম মালিককে মারধর, কাঠগড়ায় TMC কাউন্সিলর
গত রবিবার ওই ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই শিবিরে আসার জন্য কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরে কাউন্সিলর এবং তার ভাই শেখ মোজাফফর নার্সিংহোমের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চায়।
রক্তদান শিবিরের জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে দু-লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সেই টাকা না পেয়ে নার্সিংহোমের মালিককে মারধর করা এবং প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন নার্সিংহোম মালিক। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। নার্সিংহোমের মালিক শেখ শইদুল আলির বক্তব্য, সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ লুৎফর হোসেন এবং তাঁর ভাই শেখ মুজাফফর হোসেন তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিলেন কিন্তু, টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করে এবং প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এই ঘটনাই তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নার্সিংহোম মালিক।
শইদুল আলি জানান, গত রবিবার ওই ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই শিবিরে আসার জন্য কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরে কাউন্সিলর এবং তার ভাই শেখ মোজাফফর নার্সিংহোমের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চায়। কিন্তু, সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। সেই রাতে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে মারধর করে কাউন্সিলরের দলবল।
অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রথমে তিনি বজবজ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু থানা তাঁর অভিযোগ নেয়নি। পরে তিনি ডায়মন্ডহারবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। এরপরে তদন্ত নামে পুলিশ। তাতে দেখা যায় কাউন্সিলর মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, বরং কাউন্সিলর বারবার ঘটনাস্থল থেকে তাঁর ভাইকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন।
যদিও টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। তাঁর বক্তব্য, ‘রক্তদান শিবিরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি আমার ভাইয়ের পূর্ব পরিচিত ছিল। তাই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কোনও কারণে নার্সিংহোম মালিকের সঙ্গে আমার ভাইয়ের বচসা বাঁধে। আমি সেই সময় দু'জনকে ছাড়িয়ে নিই। ভাইকে সেখান থেকে চলে যেতে বলি।’ তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। সেই ক্ষোভেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।