বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক হয়ে যাবে। আতঙ্কের কোনও বিষয় নেই। শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন বলে দাবি তাঁর। এই বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবীরকুমার দণ্ডপাঠ।
আধার কার্ড হঠাৎ ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে পড়ছে বলে একের পর এক জেলা থেকে খবর আসছে। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই এমন ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এবার আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় বা ডিঅ্যাক্টিভেট হওয়ার চিঠি পেলেন হাবড়া ১ ব্লকের কিছু মানুষজন। বর্ধমান, নদিয়া, দুর্গাপুরের মতো চিন্তিত হাবড়ার বাসিন্দারাও। এবার হাবড়ার সকল মানুষজনকে আশ্বস্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ১৫ জনের বাড়িতে পৌঁছে দিলেন হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবীরকুমার দণ্ডপাঠ।
এদিকে এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক হয়ে যাবে। আতঙ্কের কোনও বিষয় নেই। আর শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন বলে দাবি তাঁর। এই বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কড়া আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। অথচ মানুষের ভয় কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীই উদ্যোগ নিয়েছেন। পোর্টাল খোলা থেকে শুরু করে বিকল্প কার্ডের কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী কোনভাবেই দায়ী নন। কিন্তু শুভেন্দু সমস্যার সমাধানে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ করে নজর ঘোরাতে চাইছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের।
অন্যদিকে হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবীরকুমার দণ্ডপাঠ বালুইগাছি এলাকায় যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাবড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেহাল আলি। বিডিও এখানে এসে গ্রামবাসীদের বলেন, ‘রাজ্য প্রশাসন আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা যাঁরা আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের জন্য প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এই সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। আপাতত ১৫ জন মানুষের কাছে গিয়ে এই চিঠি দেওয়া হল।’
এছাড়া এই আধার কার্ড নিয়ে সমস্যা মিটছেই না। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের এই দফতর থেকে বারবার আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট হওয়ার চিঠি আসছে। তাতেই আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী এই আতঙ্ক কাটাতে চিঠিতে লিখেছেন, ‘রাজ্যের এমন বহু মানুষ, যাঁরা এই কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারি বার্তা পেয়েছেন, তাঁদের ভয় পাওয়ার বা চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে আছে। আপনারা সরকারি যে সব সুযোগ–সুবিধা পান তা এই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হবে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা বিডিও মাধ্যমে জানতে পেরে খুশি হাবড়ার বাসিন্দারা। মহিলারা বেশি খুশি। কারণ তাঁরা সরাসরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে থাকেন। তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন।