ফের বিতর্ক জড়ালেন শিলিগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলর তথা তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের শিক্ষক নেতা রঞ্জন শীল শর্মা। এক শিক্ষককে কেন বার বার বদলি করা হচ্ছে সেই ইস্যু নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন প্রাথমিক কাউন্সিলের অফিসে। আর সেখানে গিয়ে তিনি যা কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে বিতর্ক একেবারে তুঙ্গে।স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে তুমুল বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সামনে টেবিল চাপড়ে তাঁকে চিৎকার করতে দেখা যায়। তিনি নানাভাবে চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ারি দেন বলে খবর।তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি নানা ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার একেবারে কাউন্সিল চেয়ারম্যানকেই হুঁশিয়ারি।সূত্রের খবর, শিক্ষক মহম্মদ ইরসাদ। খড়িবাড়ি সার্কেলে কর্মরত তিনি। চারমাসের মধ্য়ে কয়েকবার সাময়িকভাবে তাঁকে অন্য স্কুলে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। কিন্তু নতুন স্কুলে গেলে আবার তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরই শিক্ষক নেতা রঞ্জন শীল শর্মা যান কাউন্সিলে। আরও কয়েকজনও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এরপর কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সঙ্গে শুরু হয় ওই তৃণমূল নেতার বচসা। ঘেরাও করার হুমকিও দেন তিনি।তবে কাউন্সিল চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আমরা সকলেই শিক্ষক। সকলের শালীনতা বজায় রাখা দরকার। আমরা উপযুক্ত জায়গায় জানাব।তবে কাউন্সিল সূত্রে খবর, আসলে এটা ঠিক বদলি নয়, কোনও স্কুলে শিক্ষকের অভাব হলে সেক্ষেত্রে তাঁকে ওই জায়গায় সাময়িকভাবে পাঠানো হয়। তবে এদিন যেভাবে রঞ্জন শীল শর্মা চিৎকার করতে শুরু করেন তা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রঞ্জন শীল শর্মা বলতে শুরু করেন, আপনি ঘাস খান নাকি বিচুলি খান সেটা আমার দেখার দরকার নেই। পালটা চেয়ারম্যান বলেন, আপনি এত রাগ করে কথা বলছেন কেন?চেয়ারম্যান বলেন, প্রাইমারির কোনও টিচার যদি একটু সহায়তা করেন তাহলে অসুবিধা কোথায়? বেআইনি ব্য়াপার নয়। শিক্ষকের সহিষ্ণুতা কামনা করি। শালীনতা বজায় রেখে কথা বলবেন এটাই আশা করি। আমি অপমানিত।রঞ্জন পরে সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান বলছেন এসআই যা করেছেন তিনি জানেননা। আমি বলেছি চেয়ারম্যানকে শিক্ষারত্ন, নোবেল পুরস্কার যা যা আছে তা দেওয়া উচিত। উনি পাওয়ার যোগ্য। প্রাইমারি থেকে হাইস্কুলে পাঠিয়ে দিচ্ছে শিক্ষককে। তিনি লিখে দিলেন না কেন যে আমার নলেজের বাইরে এসব হয়ে গেছে। আমরা তো এটাও আশা করি না যে তিনি প্রাইমারির চেয়ারম্যান আর একজনের শিক্ষকের উপর তিনি নির্বিচারে অত্যাচার করে যাবেন এটাও তো আমরা আশা করি না।