পশ্চিমবঙ্গের বুকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর অভিযোগ। এই অভিযোগে বর্ধমান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের দুটি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। সোমবার ধৃতদের কলকাতার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে যাওয়ার কথা জানত পরিবার? বিস্ফোরক দাবি ‘চর’ জ্যোতির বাবার, বললেন….
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশকুমার গুপ্তা। জানা গিয়েছে, মুকেশ বর্ধমান লাগোয়া পানাগড়ের ক্যানেল রোডে থাকতেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে, রাকেশকুমার ভবানীপুরের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে মেমারিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। তিনি একই সংস্থার নাম করে রাজ্যে ঘুরে বেড়াতেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনের সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সরাসরি যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তাঁরা মোবাইল সিমকার্ডের ওটিপি সংগ্রহ করে সেই তথ্য পাকিস্তানে পাচার করতেন। এই কাজের জন্য তারা আর্থিক পারিশ্রমিকও পেতেন। একাধিক সিমকার্ড সক্রিয় করতে ও ব্যবহারকারীদের তথ্য জোগাড় করতে তাঁরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, শনিবার রাতে এসটিএফ যখন অভিযান চালায় তখন মুকেশ রজক বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে, রাকেশকে ধরা হয় মেমারির একটি ভাড়াবাড়ি থেকে। দুই ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিপত্র, মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, যা তদন্তে কাজে লাগবে বলে আশা পুলিশের।
এসটিএফ-এর আধিকারিকদের অনুমান, এই দু’জন শুধু মুখ মাত্র। এর পিছনে রয়েছে আরও বড় চক্র। তাই ধৃতদের জেরা করে সেই গোটা নেটওয়ার্কের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। আর কাদের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখতেন, কীভাবে এই চক্রের বিস্তার ঘটেছিল?.তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।এই ঘটনায় ফের একবার রাজ্যের নিরাপত্তা ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।