আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। ঐতিহ্য মেনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিরা সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বাংলা নববর্ষের। প্রতিবারের মতোই লাল পেড়ে সাদা শাড়ি এবং ধুতি-পঞ্জাবি পরে পয়লা বৈশাখের সকালে পুজো দিয়ে লুচি, আলুরদম, জিলিপি খাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি রেখেছেন অনেকেই। হয়ে গিয়েছে দুপুরে জমিয়ে পেটপুজো করার পরিকল্পনা। আগে পয়লা বৈশাখের বিকেলে হালখাতার চলও ছিল। তবে এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে সেই ঐতিহ্য। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও পয়লা বৈশাখের বিকেলে হালখাতা করতে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু কালের নিয়মে সেটা এখন অনেকটাই বিলীন হয়ে গিয়েছে। তাও ইতি-উতি অনেকেই সেই হালখাতার রেওয়াজ পালন করে আসেন। মিষ্টি নিয়ে ফেরার সময় চেটেপুটে উপভোগ করেন ঐতিহ্য।
শুভ নববর্ষ ১৪৩২
তবে সেইসবের মধ্যে কেউ-কেউ গুলিয়ে ফেলেন যে বাংলা নববর্ষের কত সাল শুরু হল। আসলে দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই বাংলা পঞ্জিকা ব্যবহার করেন না। ফলে অনেক সময় বাংলার সাল, তারিখ গুলিয়ে যায়। আর বছরের প্রথম দিন কারও-কারও সালটা গুলিয়ে যায়। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী, ১৪৩১ সনকে বিদায় জানিয়ে আজ থেকে ১৪৩২ সনের সূচনা হল।
'এসো হে বৈশাখ…', শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী
আর সেই দিনে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ… শুভ নববর্ষ ১৪৩২! নতুন বছরের পুণ্য আলোর দ্যুতিতে আলোকিত হোক সকলের জীবন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ। সবাইকে শুভনন্দন।' বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বলেছেন, 'পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা। আশা করি, এ বছর আপনাদের সব আকাঙ্খা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সাফল্য, সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। শুভ নববর্ষ।'
১৪৩২ সালের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট
১) ১০ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর): পঞ্চমী।
২) ১১ আশ্বিন (২৮ সেপ্টেম্বর): ষষ্ঠী।
৩) ১২ আশ্বিন (২৯ সেপ্টেম্বর): সপ্তমী।
৪) ১৩ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর): অষ্টমী।
৫) ১৪ আশ্বিন (১ অক্টোবর): নবমী।
৬) ১৫ আশ্বিন (২ অক্টোবর): দশমী।
লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট
১) কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো: ১৯ আশ্বিন (৬ অক্টোবর)।
২) কালীপুজো: ২ কার্তিক (২০ অক্টোবর)।
৩) সরস্বতী পুজো: ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি)।
৪) অন্নপূর্ণা পুজো: ১১ চৈত্র (২৬ মার্চ)।