ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ২০১৯ সালে চাকরি পেয়েছিল। প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগে কাজে যোগ দিয়েছিল। তবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে পুলিশ ওয়েলফেয়ারে পাঠানো হয়েছিল।
Ad
ভোগ করত বিশেষ সুবিধা, আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সিভিকের দাপট ছিল প্রবল, উঠছে অভিযোগ।
আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। শনিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযোগ উঠেছে যে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার প্রভাবশালী ছিল। অভিযোগ উঠেছে, নিজের এলাকা থেকে হাসপাতাল সর্বত্রই এই সিভিকের দাপট ছিল।
জানা গিয়েছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ২০১৯ সালে চাকরি পেয়েছিল। প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগে কাজে যোগ দিয়েছিল। তবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে পুলিশ ওয়েলফেয়ারে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণত পুলিশ কর্মীদের এখানে পাঠানো হয়। মূলত পুলিশ ওয়েলফেয়ার বিভাগের কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেখে থাকে পুলিশ ওয়েলফেয়ার।
এখন সঞ্জয় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও কীভাবে পুলিশ ওয়েলফেয়ারে গেল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আরও অভিযোগ উঠেছে, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার নিজের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে থাকার পাশাপাশি ফোর্থ ব্যাটেলিয়ানের ব্যারাকেও মাঝেমধ্যে থাকত। সাধারণত পুলিশের স্থায়ী কর্মীদের জন্যই ব্যারাক বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়া সত্ত্বেও ব্যারাকে থাকার সুযোগ কীভাবে পেত? সেই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে যে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এই সিভিক ভলান্টিয়ারের।