বছর ঘুরলেই রাজ্যে ভোট। ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি একগুচ্ছ বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার নবনিযুক্ত তৃণমূল দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতা নেত্রী , জনপ্রিতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। এসাইআর-র আবহে এই বৈঠক বেশ প্রাসঙ্গিক ছিল।
বৈঠকে যোগ দেন দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলার নানান স্তরের নেতা নেত্রীরা। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিষেকের এই বৈছক থেকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ একাধির বার্তা দিয়েছেন। বাংলায় বিজেপিকে রুখে দিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো নিয়ে একাধিক বার্তা দেন তৃণমূলের তরুণ সাংসদ। সাফ ভাষায় অভিষেক বলেন,'আমি-তুমির রাজনীতি দলে চলবে না।' দলের উর্ধ্বে ব্যক্তি নয়, এই বার্তা স্পষ্ট করে এদিনের সভায় দেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, 'আমি-তুমি রাজনীতি করলে পরিণাম ভয়ংকর হবে। আমি-তুমি নয়। আমি ওয়ার্নিং দিচ্ছি, যাঁরা, আমি-তুমি পলিটিক্স করবেন, তার পরিণাম খুব খারাপ হবে। কে কী দায়িত্ব পাবে, তার তালিকা দলের কাছে আছে।' অভিষেকের এদিনের বক্তব্যে তিনি বলেন,'দলের উপরে কেউ না। সবাইকে নিয়ে চলুন। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ দিচ্ছে আমি করব, আপনিও করবেন।' দলের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন,' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দুর্বল করতে চাইছে বিজেপি।'
এরইসঙ্গে অভিষেকের সাফ বার্তা,'২১ সালের পর কতজন বিজেপি নেতা এসেছিল বাংলায়? এদের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে।' এদিকে, অভিষেকের বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে বেশ কিছুটা গুঞ্জন শুরু হয়। উল্লেখ্য, অভিষেক এই বৈঠক আগেই ডেকে ছিলেন। কথা ছিল ৮ অগস্ট এই বৈঠকটি হবে। পরে বৈঠকের তারিখ এগিয়ে ৫ অগস্ট করা হয়। তবে আজকের বৈঠকে ছিলেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর জায়গায় বর্তমানে সংসদে দলের চিফ হুইপ হচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিকে, অভিষেকের বৈঠকে কল্যাণের অনুপস্থিতি ঘিরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'আমি যে থাকতে পারব না, তা অভিষেককে জানিয়েছিলাম। অভিষেক বলেছে, ঠিক আছে।'