বছরের প্রথম সোমবতী অমাবস্যায়, এই দিনটির গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায় যখন শিব যোগ গঠিত হয় এই দিনে, যেখানে ভগবান শিবের উপাসনা করে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি মাসে কৃষ্ণপক্ষের শেষ তারিখটি হল অমাবস্যা, এবছর ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা ২০ ফেব্রুয়ারি। হিন্দু ধর্মে অমাবস্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। এবার অমাবস্যা সোমবার হওয়ায় একে বলা হবে সোমবতী অমাবস্যা বলা হচ্ছে। বিশ্বাস অনুসারে, সোমবতী অমাবস্যার দিনে স্নান, দান, উপবাস ও তর্পণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এর পাশাপাশি এই বছর সোমবতী অমাবস্যায় অনেক বিশেষ যোগ তৈরি হচ্ছে, যার কারণে এই দিনটির গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যাবে।
সোমবতী অমাবস্যা – ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অমাবস্যা তিথির সূচনা – ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ০৪.১৮ থেকে,
অমাবস্যার তিথির শেষ - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দুপুর ১২.৩৫ টায়।
স্নান এবং দান করার শুভ সময় - সকাল ০৭.০০ থেকে ০৮.২৫ পর্যন্ত।
পুজো র জন্য শুভ সময় - সকাল ০৯.৫০ টা থেকে ১১.১৫ টা পর্যন্ত।
শিব যোগ – ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১.৩০ টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬.৫৭ টা পর্যন্ত।
২০ ফেব্রুয়ারি, বছরের প্রথম সোমবতী অমাবস্যাতে শিব যোগ গঠনের কারণে এই দিনটির গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। সোমবারকে ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়, এই দিনে শিব যোগে ভগবান শিবের উপাসনা করলে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
সোমবতী অমাবস্যার প্রতিকার
পূর্বপুরুষদের খুশি করতে: সোমবতী অমাবস্যার দিন পিতৃপুরুষের নামে জল নিয়ে তাতে তিল রেখে দক্ষিণ দিকে মুখ করে তর্পণ অর্পণ করুন। এতে করে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
সোমবতী অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে গীতার সপ্তম অধ্যায় পাঠ করলে পিতৃপুরুষরা প্রসন্ন হন এবং সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদ দেন।
সোমবতী অমাবস্যার দিন অশ্বথ্থ গাছ লাগালে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
শনির সাড়ে সাতি ও ধইয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে সোমবতী অমাবস্যার দিন শনিদেবকে সরিষার তেল নিবেদন করা উচিত। এতে করে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং সকল প্রকার কুপ্রভাব থেকে মুক্তি দেন।
সমৃদ্ধির জন্য: সোমবতী অমাবস্যার দিন, ময়দায় তিল মিশিয়ে রুটি তৈরি করুন এবং তারপর সেই রুটি গরুকে খাওয়ান। এতে করে ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
সোমবতী অমাবস্যার দিন সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব কোণে লাল রঙের প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
চিনির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে পিঁপড়েকে খাওয়ালে সব ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।