হিন্দু ধর্মে চৈত্র নবরাত্রি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রতি বছর চৈত্র নবরাত্রি চৈত্র মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয়। এই বছর চৈত্র নবরাত্রি শুরু হতে চলেছে ৩০ মার্চ থেকে। এই সময় দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ৯ দিন ধরে দেবীর পূজা করলে দেবী প্রসন্ন হন। তিনি আশীর্বাদ করেন। চৈত্র নবরাত্রি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল বয়ে আনে। নয় দিন ধরে দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের পুজোর পর নবমী তিথি উদযাপিত হয়। এই দিনে রাম নবমীর উৎসবও পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নবমীর দিনে কুমারী পুজো করে, কুমারী বালিকাদের খাওয়ালে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। জেনে নিন নবমীর তারিখ, পুজোর পদ্ধতি, উপকরণ এবং গুরুত্ব সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: সূর্যগ্রহণের দিন সতর্ক থাকুন এই ৬ রাশি! বিপদ এড়াতে কী কী প্রতিকার করবেন দেখে নিন
চৈত্র নবরাত্রির নবমী কবে?
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এই বছর চৈত্র নবরাত্রির নবমী ৭ এপ্রিল। এই দিন দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পূজা করা হয়। তার পর কুমারী পুজোর পর উপবাস ভঙ্গ করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাম নবমীর দিনে বিশেষ যোগ তৈরি হচ্ছে, যা পূজার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
নবমী পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
নবমীর দিন মা দুর্গার পুজো ও হোমের জন্য কিছু বিশেষ উপকরণের প্রয়োজন হয়। নবমীতে পূজার জন্য লাল চেলি, সিঁদুর, ধূপ, প্রদীপ, নারকেল, কপূর, মিষ্টি, ফুল, ফল, চন্দন কাঠ, গঙ্গাজল, হোম কুণ্ড, আম কাঠ, তিল, যব, ঘি, নবগ্রহের কাঠ, চন্দন কাঠ, এলাচ, উপকরণ হিসেবে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: অফিসের টেবিলে ভুলেও এই ৪ টি গাছ রাখবে না! কেরিয়ারে উন্নতির বদলে আসতে পারে বাধা
তাছাড়াও ফুল, ফল, বস্ত্র, ভোগ, জল, মিষ্টি ইত্যাদি কুমারী পুজোর জন্য প্রয়োজন। প্রসাদ হিসেবে লুচি, ছোলা এবং সুজির হালুয়া খাওয়াতে হয়।
নবমীর পুজোর গুরুত্ব?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নবমীর দিনে কুমারী বালিকার পুজো করলে দেবী দুর্গা সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিন হোম করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে এবং পূর্বপুরুষের অভিশাপেরও অবসান হয়। এই দিনে করা দান ও সৎকর্মও বিশেষ ফল দেয়।